মোস্তাজাবুদ দাওয়া হওয়ার আমল।দোয়া কবুল হওয়ার উপায়।কীভাবে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন।duya kobul houyar amol|

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এবং রুটি প্রস্তুতকারক

ইসলামের একজন মহান ইমাম, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.), একবার ভ্রমণে বের হন। ভ্রমণকালে এক রাতে তিনি একটি অজানা শহরে পৌঁছান এবং মসজিদে রাত্রিযাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মসজিদের দারোয়ান তাকে সেখানে থাকতে দেননি। পরে তিনি এক রুটি প্রস্তুতকারকের দোকানে আশ্রয় নেন।

রুটি প্রস্তুতকারকের অভ্যাস:

রুটি প্রস্তুত করার সময় ব্যক্তি প্রতিটি মুহূর্তে "আস্তাগফিরুল্লাহ" (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি) বলতে থাকতেন।

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) তার এই অভ্যাস দেখে বিস্মিত হন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেন:

"তুমি কি সর্বদা এভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর?"

রুটি প্রস্তুতকারী উত্তর দিলেন:

"হ্যাঁ, আমি সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করি এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।"

ইমামের প্রশ্ন এবং রুটি প্রস্তুতকারকের উত্তর:

ইমাম জিজ্ঞাসা করলেন:

"তোমার এ অভ্যাসের ফলে আল্লাহ তোমাকে কী পুরস্কার দিয়েছেন?"

রুটি প্রস্তুতকারী বললেন:

"আমার যা কিছু প্রয়োজন বা যা দোয়া করেছি, আল্লাহ সবই কবুল করেছেন। তবে একটি দোয়া এখনো কবুল হয়নি।"

ইমাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন:

"সে দোয়াটি কী?"

রুটি প্রস্তুতকারী বললেন:

"আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি যেন আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলকে দেখা করতে পারি।"

তখন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বললেন:

"সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ তোমার দোয়া কবুল করেছেন। আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল। তোমার দোয়ার কারণে আল্লাহ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন।"

আপনার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে আপনি এমন একজন ব্যক্তির কথা জানতে চাচ্ছেন যিনি রুটি তৈরি করতেন এবং তার দোয়া বা আমল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। ইসলামের ইতিহাসে এ ধরনের বেশ কিছু কাহিনি পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি বিখ্যাত ঘটনা হলো:

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এবং রুটি প্রস্তুতকারক

ইসলামের একজন মহান ইমাম, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.), একবার ভ্রমণে বের হন। ভ্রমণকালে এক রাতে তিনি একটি অজানা শহরে পৌঁছান এবং মসজিদে রাত্রিযাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মসজিদের দারোয়ান তাকে সেখানে থাকতে দেননি। পরে তিনি এক রুটি প্রস্তুতকারকের দোকানে আশ্রয় নেন।

রুটি প্রস্তুতকারকের অভ্যাস:

রুটি প্রস্তুত করার সময় ব্যক্তি প্রতিটি মুহূর্তে "আস্তাগফিরুল্লাহ" (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি) বলতে থাকতেন।

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) তার এই অভ্যাস দেখে বিস্মিত হন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেন:

"তুমি কি সর্বদা এভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর?"

রুটি প্রস্তুতকারী উত্তর দিলেন:

"হ্যাঁ, আমি সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করি এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।"

ইমামের প্রশ্ন এবং রুটি প্রস্তুতকারকের উত্তর:

ইমাম জিজ্ঞাসা করলেন:

"তোমার এ অভ্যাসের ফলে আল্লাহ তোমাকে কী পুরস্কার দিয়েছেন?"

রুটি প্রস্তুতকারী বললেন:

"আমার যা কিছু প্রয়োজন বা যা দোয়া করেছি, আল্লাহ সবই কবুল করেছেন। তবে একটি দোয়া এখনো কবুল হয়নি।"

ইমাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন:

"সে দোয়াটি কী?"

রুটি প্রস্তুতকারী বললেন:

"আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি যেন আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলকে দেখা করতে পারি।"

তখন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বললেন:

"সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ তোমার দোয়া কবুল করেছেন। আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল। তোমার দোয়ার কারণে আল্লাহ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন।"


শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠের ফজিলত: এটি আত্মার পরিশুদ্ধি আনে এবং দোয়া কবুলের পথ প্রশস্ত করে।
২. দাওয়ার শক্তি: আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ধারাবাহিক আমল ব্যক্তিকে মোস্তাজাবুদ দাওয়া (দোয়া কবুল হওয়া ব্যক্তি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
৩. আল্লাহর রহমত: সাধারণ মানুষের আন্তরিক ইবাদতও আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা পায়।

এটি ইসলামী ইতিহাসের একটি গভীর শিক্ষণীয় গল্প যা আমাদেরকে ধৈর্য, ইখলাস, এবং আল্লাহর স্মরণে মশগুল থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। 

Tags

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!